চৈতন্য মহাপ্রভু সন্ন্যাস নেওয়ার পর উড়িষ্যা গিয়ে বসবাস কালীন তার মৃত্যুকে ঘিরে বাঙালি তথা বৈষ্ণবদের মধ্যে বিতর্ক দানা বাঁধে যেহেতু তার মৃত্যুর পর কোন দেহাবশেষ পাওয়া যায়নি তাই তাকে অন্তর্ধান বলা যেতে পারে. মৃত্যুকে ঘিরে সঠিক কোনো প্রমাণ পাওয়া যায় যা আমাদের কাছে আসে কতকগুলি কল্পনা মাত্র . বিভিন্ন গবেষকদেরবইপত্র নাড়াচাড়া করলে অনেকগুলি তথ্য আমরা পাই . তবে তার মধ্যে কোনটি সঠিক তা জানা যায় না. শোনা যায়বর্তমানে পুরী নীলাচল নামক স্থানটিতে চৈতন্যদেব কৃষ্ণ নাম জপতে জপতে বিলীন হয়ে গেছে. আবার এও শোনা যায় জগন্নাথ দেবের মূর্তি তে মিশে গিয়েছিলেন আবার কেউ কেউ বলেন নগর সংকীর্তন বের হয়ে পাই পা ইটের অথবা কাঠের আঘাতে সেপটিক হয়ে তার মৃত্যু হয়. এরমধ্যে 2000 সালের 15 ই জুন আর্কিওলজি সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার পুরীর মন্দিরের সংরক্ষণের সময় দুটো মানুষের কঙ্কালউদ্ধার করে. সেগুলিকে ল্যাবে পাঠালে সেখান থেকে তা উধাও হয়ে যায় কঙ্কাল দুটির মধ্যে একটির উচ্চতা ছিল 6 ফুট 5 ইঞ্চি ইঞ্চির কাছাকাছি অন্যটি আকারের একটি ছোট যা মনে করা হয়ে থাকে একটি চৈতন্যদেবের ও আরেকটি স্বরূপ দামোদরের. 1533 সালের 29 শে জুন চৈতন্যদেব কৃষ্ণ নাম জপতে জপতে মন্দিরে প্রবেশের পর তাকে আর দেখা যায়নি এই সময় তার সাথে ছিল স্বরূপ দামোদর . চৈতন্যগবেষক ডক্টর জয় দেব মুখোপাধ্যায়1 955 সালে রহস্যজনক ভাবে খুন হয় তিনি মহাপ্রভুর মৃত্যু 462 বছর পরে এমন করতে চেয়ে ছিলেন চৈতন্যদেব কিভাবে খুন হয়েছিল. বৈষ্ণব দাস তার গ্রন্থে লিখেন গুরু স্তম্ভেরপিছনে চৈতন্যদেবের দেহাবশেষ দেখেছিলে, যদিও গ্রন্থটিও পাওয়া যায় না. ডক্টর দীনেশচন্দ্র সেন দেখেন সেই দিন তিনটের সময় গুন্ডিচা মন্দির এর দরজা খোলা হয়নি চৈতন্যের অনু সঙ্গীরা মন্দিরের দ্বারেভিড় করেছিলেন. রাত আটটার সময় পান্ডারা বলে চৈতন্যদেব স্বর্গে গমন করেছেন তার দেহে আর কোনো চিহ্নমাত্র নেই পুরীর পান্ডারা কেন সেইদিন এতক্ষণ ধরে দরজা বন্ধ করে রেখে দিয়েছিলেন তাও জানা যায়নি তৎকালীন উৎকল রাজা প্রতাপ রুদ্রের অনুমতি ছাড়া এই কার্য সম্ভব নয় তবে কি চৈতন্যদেবের প্রভাব প্রতিপত্তি থেকে বেশি হওয়াতে কিভাবে হত্যা করা হয় এই নিয়ে বৈষ্ণব বৈষ্ণবরা মেনে নিতে পারেন না তাদের প্রাণের দেবতা চৈতন্যদেব স্বয়ং শ্রীকৃষ্ণ ও রাধার মেলবন্ধন সুতরাং তাকে কেউ হত্যা করতে পারে না. অন্তর্ধান সঠিক প্রমাণ পাওয়া যায়নি আজ 500 বছর পূর্বের ঘটে যাওয়া ঘটনা আমাদের কাছে অনুমানভিত্তিক .

0 Comments